দশমহাবিদ্যার প্রথম হল কালী। মহাভাগবতের মতে মহাকালী হচ্ছেন মুখ্য (প্রধান) এবং তার উগ্র ও সৌম্য দুই রূপের অন্তবতী অনেক রূপ ধারণকারিণী হল দশমহাবিদ্যা। বিদ্যাপতি ভগবান মহাদেবের শক্তি এই দশমহাবিদ্যা অনন্ত সিদ্ধি প্রদানকারিণী। দার্শনিক দিক থেকেও কালতত্ত্বের প্রাধান্যই সবার উপরে। এইজন্যই বা কালীই সমস্ত বিদ্যার আদি অর্থাৎ তার বিদ্যাময় বিভূতি সকলই মহাবিদ্যা। মনে হয় মহাকালের প্রিয়তমা […]
ভগবতী কালীকেই নীলবরণা হওয়ায় তারাও বলা হয়। আবার কোনও মতে তারা নামের রহস্য এই যে ইনি সর্বদা মোক্ষদায়িনী, তারিনী, তাই তাকে তারা নামে ডাকা হয়। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। বিনা আয়াসেই বাকশক্তি প্রদানে সমর্থ, এইজন্য একে নীলসরস্বতীও বলা হয়। ভয়ানক বিপদ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন এজন্য তিনি উগ্ৰতারা। বৃহনীল-তন্ত্ৰাদি শাস্ত্রে ভগবতী তারার স্বরূপের বিশদ আলোচনা আছে।
ভগবতী কালীকেই নীলবরণা হওয়ায় তারাও বলা হয়। আবার কোনও মতে তারা নামের রহস্য এই যে ইনি সর্বদা মোক্ষদায়িনী, তারিনী, তাই তাকে তারা নামে ডাকা হয়। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। বিনা আয়াসেই বাকশক্তি প্রদানে সমর্থ, এইজন্য একে নীলসরস্বতীও বলা হয়। ভয়ানক বিপদ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন এজন্য তিনি উগ্ৰতারা। বৃহনীল-তন্ত্ৰাদি শাস্ত্রে ভগবতী তারার স্বরূপের বিশদ […]
মাহেশ্বরী শক্তির সবচেয়ে সুন্দর শ্ৰীবিগ্রহধারিণী সিদ্ধ দেবী হলেন ষোড়শী। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। ষোড়শ অক্ষরের মন্ত্রময়ী এই দেবীর অঙ্গপ্রভা নবারুনের আভার মত। তার চার হাত এবং ত্রিনয়ন। ইনি শায়িত সদাশিবের ওপর কমলাসনে শান্তমুদ্রায় আসীন। এর চার হতে ক্ৰমশঃ পাস, অঙ্কুশ, ধনুক এবং বাণ শোভিত রয়েছে। বর দেবার জন্য সদাই উৎসুক ভগবতীর এই শ্ৰীবিগ্ৰহ সৌম্যমূর্তি এবং হৃদয় দয়ায় পূর্ণ।
মাহেশ্বরী শক্তির সবচেয়ে সুন্দর শ্ৰীবিগ্রহধারিণী সিদ্ধ দেবী হলেন ষোড়শী। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। ষোড়শ অক্ষরের মন্ত্রময়ী এই দেবীর অঙ্গপ্রভা নবারুনের আভার মত। তার চার হাত এবং ত্রিনয়ন। ইনি শায়িত সদাশিবের ওপর কমলাসনে শান্তমুদ্রায় আসীন। এর চার হতে ক্ৰমশঃ পাস, অঙ্কুশ, ধনুক এবং বাণ শোভিত রয়েছে। বর দেবার জন্য সদাই উৎসুক ভগবতীর এই শ্ৰীবিগ্ৰহ সৌম্যমূর্তি […]
দেবীভাগবতে বর্ণিত মনিদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী শ্ৰীশ্ৰীচণ্ডীর একাদশ অধ্যায়ে মঙ্গলাচরণেও বলা হয়েছে যে ‘আমি ভুবনেশ্বরী দেবীর ধ্যান করি। তাঁর শ্ৰীঅঙ্গের শোভা নবারুন সদৃশ অরুনাভ। তাঁর শিরে চন্দ্রমুকুট, ত্রিনয়না দেবীর শ্ৰীমুখে মৃদু হাসির আভা । তার হাতে পাশ, অঙ্কুশ, বরদ এবং অভয় মুদ্রা শোভা পায়।”
দেবীভাগবতে বর্ণিত মনিদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হল্লেখা (হীং) মন্ত্রের স্বরূপশক্তি এবং সৃষ্টির ক্রমপর্যায়ে মহালক্ষ্মীস্বরূপা—আদিশক্তি ভগবতী ভুবনেশ্বরী হচ্ছেন দেবাদিদেব মহাদেবের সমস্ত লীলাবিভূতির সহচর জগদম্বা ভুবনেশ্বরীর স্ব-রূপ হচ্ছে সৌম্য এবং অঙ্গকান্তি অরূণবর্ণ। ভক্তকে অভয় প্রদান ও সর্বসিদ্ধি প্ৰদান করাই হল এর স্বাভাবিক গুণ। দশ মহাবিদ্যার মধ্যে ইনি চতুর্থ স্থানাধিকারী। দেবীপুরাণ অনুসারে মূলা প্রকৃতির অপর নামই ভুবনেশ্বরী। ঈশ্বররাত্রে যখন […]
ক্ষীয়মান বিশ্বের অধিষ্ঠান হল দক্ষিণামূর্তি কালভৈরব। সেই ভৈরবের শক্তিই ত্রিপুরভৈরবী । ইনি ললিতা বা মহাত্রিপুরসুন্দরীর রথবাহিনী। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণে একে গুপ্তযোগিনীদের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে চিত্রিত করা হয়েছে।
ক্ষীয়মান বিশ্বের অধিষ্ঠান হল দক্ষিণামূর্তি কালভৈরব। সেই ভৈরবের শক্তিই ত্রিপুরভৈরবী । ইনি ললিতা বা মহাত্রিপুরসুন্দরীর রথবাহিনী। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণে একে গুপ্তযোগিনীদের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে চিত্রিত করা হয়েছে। মৎস্যপুরাণে এর ত্রিপুরভৈরবী, কোলেশভৈরবী, রুদ্রভৈরবী, চৈতন্যভৈরবী ও নিত্যাভৈরবী ইত্যাদি রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। বিভিন্ন শাস্ত্ৰে ইন্দ্রিয়বিজয় ও সর্বত্র উৎকর্ষপ্রাপ্তির জন্য ত্রিপুরভৈরবীর উপাসনার কথা বলা হয়েছে। মহাবিদ্যাদের মধ্যে এর স্থান পঞ্চম। ঘোর […]
পরিবর্তনশীল জগতের অধিপতি হচ্ছেন। কবন্ধ আর কবন্ধের শক্তি হলেন ছিন্নমস্তা। বিশ্বের হাস-বৃদ্ধি তাে সর্বদা হয়েই চলেছে। হাসের মাত্রা যখন কম এবং বিকাশের মাত্রা বেশী হয় তখন ভুবনেশ্বরীর আর্বিভাব | হয়। এর বিপরীত প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ নিৰ্গম বেশী এবং আগম কম হলে ছিন্নমস্তার প্রাবল্য হয়।
পরিবর্তনশীল জগতের অধিপতি হচ্ছেন। কবন্ধ আর কবন্ধের শক্তি হলেন ছিন্নমস্তা। বিশ্বের হাস-বৃদ্ধি তাে সর্বদা হয়েই চলেছে। হাসের মাত্রা যখন কম এবং বিকাশের মাত্রা বেশী হয় তখন ভুবনেশ্বরীর আর্বিভাব | হয়। এর বিপরীত প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ নিৰ্গম বেশী এবং আগম কম হলে ছিন্নমস্তার প্রাবল্য হয়। দেবী ছিন্নমস্তার স্বরূপ অত্যন্তই গুহ্য। এটি কোনও অধিকারী সাধকই জানতে পারে। মহাবিদ্যাদের […]
ধূমাবতী দেবী মহাবিদ্যাদের মধ্যে সপ্তম স্থানে আছেন বলে মনে করা হয়। এর সম্বন্ধে কাহিনীতে বলা হয়েছে যে একসময় ভগবতী পার্বতী ভগবান শিবের সাথে কৈলাস পর্বতে বসেছিলেন। মহাদেবের কাছে তিনি তার ক্ষুধার কথা জানালেন এবং ক্ষুধা নিবারণের অনুরোধ জানালেন।
ধূমাবতী দেবী মহাবিদ্যাদের মধ্যে সপ্তম স্থানে আছেন বলে মনে করা হয়। এর সম্বন্ধে কাহিনীতে বলা হয়েছে যে একসময় ভগবতী পার্বতী ভগবান শিবের সাথে কৈলাস পর্বতে বসেছিলেন। মহাদেবের কাছে তিনি তার ক্ষুধার কথা জানালেন এবং ক্ষুধা নিবারণের অনুরোধ জানালেন। কয়েকবার বলার পরেও যখন ভগবান শিব সে কথায় কান দিলেন না, তখন তিনি মহাদেবকেই তুলে নিয়ে গিলে […]
বগলামুখী ব্যাষ্টিরূপে শত্রুনাশের ইচ্ছাযুক্তা এবং সমষ্টিরূপে পরমাত্মার সংহারশক্তিই হলেন বগলা।। পীতাম্বরাবিদ্যা নামে বিখ্যাত বগলামুখীর সাধনা প্রায়শই শত্রুভিয়মুক্তি ও বাকসিদ্ধি লাভের জন্য করা হয়। এর পূজায় হরিদ্রােমালা, পীতপুস্প এবং পীতবস্ত্রের বিধান আছে। মহাবিদ্যাগণের মধ্যে এর স্থান অষ্টম। এর ধ্যানে বলা হয় যে সুধাসমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত মনিময় মণ্ডপে রত্নময় সিংহাসনে তিনি বিরাজ করেন। তিনি পীতবর্ণ বস্ত্ৰ, পীত আভুষন এবং হলুদ ফুলের মালা পরিধান করেন। এর এক হাতে শত্রুর জিহ্বা এবং অন্য হাতে মুগুর রয়েছে।
ব্যাষ্টিরূপে শত্রুনাশের ইচ্ছাযুক্তা এবং সমষ্টিরূপে পরমাত্মার সংহারশক্তিই হলেন বগলা।। পীতাম্বরাবিদ্যা নামে বিখ্যাত বগলামুখীর সাধনা প্রায়শই শত্রুভিয়মুক্তি ও বাকসিদ্ধি লাভের জন্য করা হয়। এর পূজায় হরিদ্রােমালা, পীতপুস্প এবং পীতবস্ত্রের বিধান আছে। মহাবিদ্যাগণের মধ্যে এর স্থান অষ্টম। এর ধ্যানে বলা হয় যে সুধাসমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত মনিময় মণ্ডপে রত্নময় সিংহাসনে তিনি বিরাজ করেন। তিনি পীতবর্ণ বস্ত্ৰ, পীত আভুষন […]
শিবের নাম মাতঙ্গ, তার শক্তি মাতঙ্গী। তিনি অসুরদের মােহিত্যকারিনী আর ভক্তকে অভীষ্ট ফলদায়িনী। গৃহস্থ জীবনে সুখদায়িনী, পুরুষাৰ্থসিদ্ধি এবং বাকবিলাসে পারঙ্গম হওয়ার জন্য মাতঙ্গিনীর সাধনা শ্রেয়। দশমহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান নবম |
শিবের নাম মাতঙ্গ, তার শক্তি মাতঙ্গী। মাতঙ্গীর ধ্যানে তার রূপের বর্ণনায় আছে যে তিনি শ্যমবৰ্ণা, তার শিরে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰশোভিত। দেবী মাতঙ্গী ত্রিনয়না, রত্নসিংহাসনে আসীনা, তার কান্তি নীলকমলের মত এবং বিস্তৃত অরণ্য সদৃশ্য রাক্ষসকুলকে ভস্ম করতে দাবানলের ন্যায়। তার চার হাতে পাশ, অঙ্কুশ, খেটক ও খড়গ শোভিত। তিনি অসুরদের মােহিত্যকারিনী আর ভক্তকে অভীষ্ট ফলদায়িনী। গৃহস্থ জীবনে সুখদায়িনী, […]
শ্ৰীমদ্ভগবতার অষ্টম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে কমলার উদ্ভবের বিস্তৃত বর্ণনা আছে। দেবতা ও অসুরদের দ্বারা অমৃত লাভের উদ্দেশ্যে সমুদ্র মন্থনের ফলস্বরূপ তাঁর আবির্ভাব।
শ্ৰীমদ্ভগবতার অষ্টম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে কমলার উদ্ভবের বিস্তৃত বর্ণনা আছে। দেবতা ও অসুরদের দ্বারা অমৃত লাভের উদ্দেশ্যে সমুদ্র মন্থনের ফলস্বরূপ তাঁর আবির্ভাব। ভগবান বিষ্ণুকে ইনি পতিত্বে বরণ করেছিলেন। মহাবিদ্যাদের মধ্যে ইনি দশম স্থানাধিকারিণী। ভগবতী কমলা হলেন বৈষ্ণবী শক্তি আবার ভগবান বিষ্ণুর লীলাসহচরী; তাই এর পূজা জগতাধার-শক্তির পূজা। ইনি একরূপে সমস্ত ভৌতিক ও প্রাকৃতিক সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী […]