কবিতায়-আর্ধ্যাত্বিকতা

লেখক- অনিল মোহন কর

আশা সেবক হয়েছি বলে

বিরাম দিবে না আর, করিতে শ্রীনাম সকল ভক্তের হবে জীবনের সার,
বিষয় লালসা জীবনের আশা, ঘুচে যাবে নাম সাধনে তাঁর।
বিষয় গরল মাঝে, সুখে আছ ভাব কি কাজে, কে খন্ডাবে দুঃখ ভার।
আর তো সহে না মনের জ্বালা, অধীনের আসার কল্পনা, পাইতে তব আশ্রয়।
মনের মানস করিয়ে সরস, তাঁর শ্রীপদে মন মজাও ভক্তগণের
হবে লোভ নাশ, কাটবে কর্মপাশ, দূরে যাবে বিষাদ ভাবনা যত।
তোমার করুনা স্রোত বহিছে অবিরত, আছে কি ভাবনা যে করে চরণ সেবা,
তব চরণ প্রসাদে ঘুচিবে ভব যন্ত্রণা, এ আশ্বাস দিযেছেন সর্ব সাধুজনা।
আনন্দে নয়নে আষাঢ় ধারা, শুনিয়া সাধুজনের মুখ নিসৃত কথা,
আরও মনে পড়ে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কল্পতরু হয়ে যখন ডাকে ভক্ত জনে জনে।
সকলেরই মনোবাঞ্চা পূরণ হল, একমাত্র বাকী রইল শ্রীগদাধরে।
অবাক চিত্তে সবাই জিজ্ঞাসিলে মহা প্রভু তাকে না ডাকার হেতু কি জানতে,
উত্তরে মহাপ্রভু বল্লেন ঐ ঠাকুর পাড়ে তেঁতুল গাছে যত পাতা তত বৎসর পরে উদ্ধারিবো তারে।
এই উত্তর শুনে প্রভুর শুরু হল গদাধরের উর্দন্ড নৃত্য, উদ্ধার হবে জেনে।
বাহিরে আওয়াজ শুনে প্রভু কি ঘটেছে উঠানে, জানতে চাইলেন তিনি,
গদাধরের কীর্তি শুনে প্রভু, ভক্তজনকে আদেশিলেন তিনি গদাধরকে ঘরে নিতে,
শুনিয়া এ সংবাদ প্রভু গিয়ে গদাধর ষাস্টাঙ্গে প্রনাম প্রভুকে, একেবারে ভক্তিতে গদগদ,
করিব এ জন্মেই উদ্ধার আমি, মোহিত করেছ আমাকে উদ্ধার হবে বলে।
অধমকেও উদ্ধারিবেন প্রভু, সন্দেহ নেই মম অন্তরে এক বিন্দু
শ্রীপদে রেখেছে মন যাদের সেবক হয়ে চলছে তাঁরই আশীর্বাদে।

Download the Book

পরবর্তী তালিকা :

Recent Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।