শ্ৰীমদ্ভগবতার অষ্টম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে কমলার উদ্ভবের বিস্তৃত বর্ণনা আছে।

দেবতা ও অসুরদের দ্বারা অমৃত লাভের উদ্দেশ্যে সমুদ্র মন্থনের ফলস্বরূপ তাঁর আবির্ভাব।

শ্ৰীমদ্ভগবতার অষ্টম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে কমলার উদ্ভবের বিস্তৃত বর্ণনা আছে। দেবতা ও অসুরদের দ্বারা অমৃত লাভের উদ্দেশ্যে সমুদ্র মন্থনের ফলস্বরূপ তাঁর আবির্ভাব। ভগবান বিষ্ণুকে ইনি পতিত্বে বরণ করেছিলেন। মহাবিদ্যাদের মধ্যে ইনি দশম স্থানাধিকারিণী। ভগবতী কমলা হলেন বৈষ্ণবী শক্তি আবার ভগবান বিষ্ণুর লীলাসহচরী; তাই এর পূজা জগতাধার-শক্তির পূজা। ইনি একরূপে সমস্ত ভৌতিক ও প্রাকৃতিক সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী আবার আর এক রূপে সচ্চিদানন্দময়ী লক্ষ্মী—যিনি ভগবান বিষ্ণুর থেকে অভিন্ন। দেবতা, মানব ও দানব-সকলেই এর কৃপা ছাড়া পঙ্গ। এইজন্য আগম ও নিগম দুই শাস্ত্রেই এর পূজা সমরূপে বৰ্ণিত। সমস্ত দেবতা, রাক্ষস, মানুষ, সিদ্ধ ও গন্ধৰ্ব এর কৃপা প্রসাদ পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে |

মহাবিদ্যা কমলার ধ্যানমন্ত্রে বলা আছে যে ইনি সুবর্ণকান্তি। হিমালয় সদৃশ শ্বেতবর্ণ চারটি হাতি তাদের শুড়ে চারটে সুবৰ্ণ কলস নিয়ে একে স্নান করাচ্ছে। তাঁর দুই হাতে বর ও অভয় মুদ্রা এবং অন্য দুইটি হাতে দুটি পদ্মফুল নিয়ে আছেন। এর মাথায় সুন্দর মুকুট এবং পরিধানে রেশমীবস্ত্ৰ সুশোভিত। ইনি কমলাসনে আসীনা ।

সমৃদ্ধির প্রতীক মহাবিদ্যা কমলার পূজা স্থিরলক্ষ্মী প্রাপ্তি ও স্ত্রীপুত্ৰাদি সুখের জন্য করা হয়। কমলাকে লক্ষ্মী এবং ষোড়শীও বলা হয়। ভার্গবদের দ্বারা পূজিত হওয়ার জন্য এর আর এক নাম ভার্গবী। এর কৃপায় | সসাগরা ধরনীর আধিপত্য ও পুরুষোত্তম-ভাব এই দুইয়ের প্রাপ্তি হয়। ভগবান আদি শঙ্করাচার্য বিরচিত কনক ধারাস্তোত্র ও শ্ৰীসূক্তের পাঠ, পদ্মবীজের মালায় শ্ৰীমন্ত্রের জপ, বিল্বপত্র ও বিম্বফলের দ্বারা যজ্ঞ করলে কমলার বিশেষ কৃপা লাভ হয়। স্বতন্ত্ৰতন্ত্রে কোলাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে এর আবির্ভাব হয় বলে বলা হয়েছে।

রাহীতন্ত্ৰমতে পুরাকালে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর দ্বারা পূজিত হওয়াতে কমলার এক নাম ত্রিপুরারূপেও প্রসিদ্ধ। কালিকাপুরাণে বলা হয়েছে যে ত্রিপুরশিবের পত্নী হওয়াতে একে ত্রিপুরা বলা হয়। শিব স্বেচ্ছায় ত্ৰিধাবিভক্ত হয়ে যান। তার উদ্ধভাগ গৌরবর্ণ, চার হাত, চতুর্মুখ ব্ৰহ্মরূপে পরিচিত। মধ্যভাগ নীলবর্ণ একমুখ ও চতুভূজ। তাঁকে বিষ্ণু বলা হয়। আর অধোভাগ স্ফটিক বর্ণ, পঞ্চমুখ ও চতুর্ভূজ—একে শিব বলা হয়। এই তিন দেহে যুক্ত হয়ে শিব হলেন ত্রিপুর আর তাঁর শক্তি হলেন ত্রিপুরা এরকম বলা হয়েছে। চিন্তামনি গৃহে এর নিবাস। ভৈরবব্যামল তথা শক্তিলহরীতে এর রূপ ও পূজাপদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এর পূজায় সমস্ত রকম সিদ্ধি সহজে লাভ করা যায়।

পুরুষসূক্তে শ্ৰীশ্চ তে লক্ষ্মীশ্চ পত্ন্যা’ বলে কমলাকে পরম পুরুষ ভগবান বিষ্ণুর পত্নীরূপে উল্লেখ করা হয়েছে। অশ্ব, রথ, হস্তীর সাথে তার সম্বন্ধ রাজ্য-বৈভবের সচক, পদ্মাসীনা ও পদ্মাবর্ণ হওয়ার কথাও

 

 

১৬। শ্ৰীশ্ৰী কালিকা দেবীর প্রণামঃওঁ কালি কালি মহাকালি কালিকে পরমেশ্বরী। সর্বানন্দ করে দেবী-নারায়ণী নমোস্ততো ।

১৭। শ্ৰীশ্ৰী বাসুদেবের প্রণাম ঃওঁ নমস্তে জলদাভাস নমস্তে জলশায়িনে ।

নমস্তে কেশবানন্ত বাসুদেব নমোস্তুতে ।

১৮। শ্ৰীশ্ৰী লক্ষ্মীকান্তের প্রণামঃনমঃ কমলনেত্ৰায় হরয়ে পরমাতাণে । অশেষ-ক্লেশ-নাশায় লক্ষ্মীকান্ত নমোস্তুতে ।

১৯। শ্ৰীশ্ৰী রামকৃষ্ণ দেবের প্রণামঃওঁ স্থাপকায় চ ধৰ্ম্মস্য সর্বধর্মস্বরূপিনে । অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।। অথবা, ওঁ নমাে ভগবতে রামকৃষ্ণায় তে নমঃ ।

২০। শ্ৰীশ্ৰী সারদা দেবীর প্রণামঃওঁ জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদগুরুম। পাদপদ্মে তয়োঃ শ্রিত্যু প্ৰণামামি মুহূমুহুঃ।

২১। বিবেকানন্দ স্বামীজীর প্রণামঃনমঃ শ্ৰীযতিরাজায় বিবেকানন্দ সূরায়ে। সচ্চিৎ সুখস্বরূপায় স্বামিণে তাপহারিণে ।

২২। শ্ৰীশ্ৰী গুরুদেবের প্রণামঃওঁ অক্ষণ্ডমন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্ৰীগুরুবে নমঃ । অথবা, অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকিয়া | চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্ৰীগুরুবে নমঃ।। অথবা, গুরুত্ব্রহ্মা গুরুত্পবিষ্ণু গুরুৰ্দেব মহেশ্বর। গুরুরেব পরািমং ব্ৰহ্মা তস্মৈ শ্ৰীগুরুবে নমঃ | |

২৩। শ্ৰীশ্ৰী হনুমানজীর প্রণাম মন্ত্ৰঃ

পবন নন্দন সঙ্কট হরণ মঙ্গল মুরতি রূপ।

রাম লক্ষণ সীতা সহিত হৃদয় বসাহু সরভূপ।

২৪। শ্ৰী গঙ্গা দেবীর প্রণামঃ ওঁ সদ্যপাতক সংহন্ত্রী সদ্যো দুঃখবিনাশিনী। সুখদা মোক্ষদা গঙ্গা গঙ্গৈব পরমা গতিঃ ।

২৫। শ্ৰীশ্ৰী জগধাত্রীদেবীর প্রণামঃও সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে । শরণ্যে ত্ৰ্যম্বকে গৌরি নারায়ণী নমোস্তুতেঃ। ২৬। শ্ৰীশ্ৰী বিশ্বকৰ্ম্ম দেবের প্রণামঃ

ওঁ দেব শিল্পিনা মহাভাগ। কাৰ্য সাধক ৷ বিশ্ব কর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বভিষ্ট ফলপ্ৰদ ।

২৭। শ্ৰীশ্ৰী মনসা দেবীর প্রণামঃআস্তিকস্য মুর্ণোমাতা ভগনী বাসেকেস্তথা | জগৎকারু মুণেঃ পত্নী মনসা দেবী নমোহস্তুতে।

২৮। শ্ৰীশ্ৰী রাধারাণীর প্রণামঃতপ্তকাঞ্চন গৌরাঙ্গ রাধে বৃন্দাবণেশ্বরী। বৃষভানুসুতে দেবী-প্ৰণমামি হরিপ্রিয়ে।

২৯। শ্ৰীশ্ৰী পঞ্চতত্ত্ব প্ৰণামঃ(জয়) শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য প্ৰভু নিত্যানন্দ । শ্ৰীঅদ্বৈত গদাধর শ্ৰীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।

৩০। শ্ৰীশ্ৰী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর প্রণামঃনমাে মহাবদন্যতায় কৃষ্ণপ্রেম প্রদায়তে।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণ চৈতন্যনামে গৌরতুিষে নমঃ।।

৩১। শ্ৰীশ্ৰী শনিদেবের প্রণাম মন্ত্ৰঃও নীলঞ্জন চুয়ং প্রখ্যং রবিসূতঃ মহাগ্ৰহম | ছায়ায়াং ༦༡ তং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম।

৩২। শ্ৰীশ্ৰী বাণেশ্বর শিবের প্রণাম বাস্ত্ৰঃওঁ বাণেশ্বরায় নরকাৰ্ণিবতারণায় জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়সাগরায়। কপূরিকুদৃধবলেন্দুজটাধারায় দারিদ্র্যদুঃখদহনায় নমঃ শিবায়।

পরবর্তী তালিকা :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।