ভগবতী কালীকেই নীলবরণা হওয়ায় তারাও বলা হয়।

আবার কোনও মতে তারা নামের রহস্য এই যে ইনি সর্বদা মোক্ষদায়িনী, তারিনী, তাই তাকে তারা নামে ডাকা হয়। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। বিনা আয়াসেই বাকশক্তি প্রদানে সমর্থ, এইজন্য একে নীলসরস্বতীও বলা হয়। ভয়ানক বিপদ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন এজন্য তিনি উগ্ৰতারা। বৃহনীল-তন্ত্ৰাদি শাস্ত্রে ভগবতী তারার স্বরূপের বিশদ আলোচনা আছে।

ভগবতী কালীকেই নীলবরণা হওয়ায় তারাও বলা হয়। আবার কোনও মতে তারা নামের রহস্য এই যে ইনি সর্বদা মোক্ষদায়িনী, তারিনী, তাই তাকে তারা নামে ডাকা হয়। মহাবিদ্যার মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। বিনা আয়াসেই বাকশক্তি প্রদানে সমর্থ, এইজন্য একে নীলসরস্বতীও বলা হয়। ভয়ানক বিপদ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন এজন্য তিনি উগ্ৰতারা। বৃহনীল-তন্ত্ৰাদি শাস্ত্রে ভগবতী তারার স্বরূপের বিশদ আলোচনা আছে। হয়গ্ৰীবকে বধ করার জন্য ইনি নীল বিগ্ৰহ। ধারণ করেছিলেন । শবরূপ শিবের উপর ইনি প্রত্যালীঢ় মুদ্রায় দণ্ডায়মান। দেবী তারা নীলবরণা, নীলকমলের মত তিনটী নেত্রযুক্তা এবং হাতে কাচি, করোটি, পদ্মফুল ও খড়গ ধারণ করে রয়েছেন। ইনি ব্যাঘাম্বারা এবং কণ্ঠে মুণ্ডমালাধারিণী ।

শত্রুনিধন, বাক-শক্তি সিদ্ধি এবং ভোগ-মোক্ষাপ্ৰাপ্তির উদ্দেশ্যে তারা বা উগ্ৰতারার সাধনা করা হয় । রাত্রিদেবীর স্বরূপ শক্তি তারাকে মহাবিদ্যাদের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং সিদ্ধির অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলা হয়। তারা দেবীর তিন রূপ—তারা, একজটা ও নীলসরস্বতী। এই তিনরূপের রহস্য, কার্যকলাপ ও ধ্যান ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু এই বিভিন্নতা সত্ত্বেও প্রত্যেকেরই শক্তি সমান ও একই। তারাদেবীর উপাসনা মুখ্যরূপে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয় যাকে আগমোক্ত পদ্ধতিও বলা হয়। এর উপাসনায় সামান্য ব্যক্তিও বৃহস্পতির সমান বিদ্বান হয়ে যান।

ভারতবর্ষে বশিষ্ঠমুনি সর্বপ্রথম তারাদেবীর আরাধনা করেন। এইজন্য তারাদেবীকে বশিষ্ঠােরাধিতা তারাও বলা হয়। মহর্ষি বশিষ্ঠ প্ৰথমে বৈদিক পদ্ধতিতে তারাদেবীর উপাসনা আরম্ভ করেছিলেন, কিন্তু তা সফল হয়নি। অদৃশ্যশক্তির থেকে তিনি আদেশ পান যে তিনি যেন তান্ত্রিক পদ্ধতি, যাকে “চিনাচারা’ বলা হয়, তৎদ্বারা যেন পূজা করেন। বশিষ্ঠ যখন তান্ত্রিক পদ্ধতি গ্ৰহণ করেন তখনই তার সিদ্ধিলাভ হয়। এই কাহিনী ‘আচার’ তন্ত্রে বিশিষ্ঠ মুনির আরাধনা উপাখ্যানে বর্ণিত আছে। এদ্বিারা | প্রমাণিত হয় যে পূর্বে চীন, তিব্বত, লাদাখ প্রভৃতি স্থানে তারাদেবীর উপাসনার প্রচলন ছিল।

তারাদেবীর আবির্ভাব সুমেরু পর্বতের পশ্চিমভাগে ‘চােলনা’ নামে নদীর ধারে অথবা চােলৎ সরোবরের তীরে হয়েছিল, যেমন স্বতন্ত্ৰতন্ত্রে বর্ণনা আছে— মেরোঃ পশ্চিমকুলে নু চােত্ৰতাখ্যো হ্রদো মহান। তত্ৰ জজ্ঞে স্বয়ং তারা দেবী নীলসরস্বতী৷ মহাকাল সংহিতার কাম-কলাখণ্ডে তারা-রহস্য বর্ণিত আছে, যাতে তারারাত্ৰিতে তারা উপাসনার বিশেষ তাৎপর্য বলা আছে। চৈত্র-শুক্ল নবমীর রাত্রিকে ‘তারারাত্ৰি’ বলা হয়— চৈত্রে মাসি নবম্যাং তু শুক্লপক্ষে তু ভূপতে। ক্ৰোধারাত্ৰিমহেশানি তারারূপা ভবিষ্যতি৷ (পুরশ্চর্যার্নব ভাগ-৩)

পরবর্তী তালিকা :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।